নতুন Fridge কেনার সময় আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি চিন্তিত থাকি। ভাবি কোন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ ভালো হবে, ফ্যামিলির ধরণ অনুযায়ী কেমন ফ্রিজ নেওয়া উচিত, বাজেট কেমন হলে ভালো একটা ফ্রিজ কেনা যাবে। যেহেতু একটা ফ্রিজ আপনাকে বছরের পর বছর ব্যবহার করতে হবে সেহেতু সেই ফ্রিজ কেনার সময় বেশকিছু বিষয়কে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে।
এই বিষয়টি মাথায় রেখে আজকের Pickaboo ব্লগে আমরা চেষ্টা করবো নতুন Fridge কেনার সময় কোন ৫টি বিষয়কে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তা জানার। আশা করি এই বিষয়গুলো যদি মাথায় রেখে ফ্রিজ কিনতে পারেন তাহলে আপনার কেনা এই ফ্রিজ কোন সমস্যা ছাড়া বহু বছর ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন বিস্তারিত জানি।
নতুন ফ্রিজ কেনার সময় করণীয়
জানুন কীভাবে আপনার বাড়ির জন্য সঠিক ফ্রিজটি বাছাই করবেন এবং ফ্রিজ কেনার সময় বাজেট হিসাবে ঠিক কি পরিমাণ খরচ করতে হবে। নতুন ফ্রিজ কেনার সময় করণীয় হিসেবে নিচের ৫ টি বিষয় মাথায় রাখুন:
১. সঠিক ফ্রিজটি বাছাই করুন
নতুন ফ্রিজ কেনার সময় করণীয় হিসাবে কোন ধরণের ফ্রিজ এবং কোন সাইজের ফ্রিজ আপনার জন্য প্রযোজ্য তা নিশ্চিত হয়ে নিন। একটি নতুন রেফ্রিজারেটর নির্বাচন করার সময় মূলত ২ টি প্রাইমারি বিষয় নিশ্চিত হতে হয়। ১— ফ্রিজের ক্ষমতা কতটুকু এবং ২— ফ্রিজের সাইজ কতটুকু। আর এই দুইটি বিষয়ই নির্ভর করবে আপনি কি পরিমাণ খাবার সংরক্ষণ করতে চান এবং আপনার পরিবারের সদস্যসংখ্যা কত তার উপর।
বলে রাখা ভালো এক একটি ফ্রিজের সাইজ নির্ধারিত হয়ে থাকে লিটারের উপর। ছোট পরিবারের ক্ষেত্রে ২৫০ থেকে ৩০০ লিটারের ফ্রিজ কেনা যেতে পারে। অন্যদিকে ৪/৫ জনের পরিবারে ব্যবহারের জন্য ৩০০ থেকে ৩৫০ লিটার ফ্রিজই যথেষ্ট। আর যাদের পরিবার অনেক বড় এবং ৬ জনেরও বেশি সদস্য একসাথে বাস করেন তারা ৪০০ লিটারের বেশি ফ্রিজগুলো কিনে নিতে পারেন।
অন্যদিকে ফ্রিজের ধরণ হিসেবে ডিপ ফ্রিজ বা নরমাল ক্যাটাগরির ফ্রিজকে অপশন হিসাবে ধরে নিতে পারেন। পরিবারের চাহিদা, বাজেট এবং কোথায় ফ্রিজ বসাবেন মূলত তার উপরও নির্ভর করবে এই ফ্রিজের ধরণ কেমন হবে সে বিষয়টি। মাংস, মাছ এবং বিভিন্ন খাবার-দাবার পুরোপুরি ফ্রোজেন করতে ডিপ ফ্রিজ কিনতে পারেন। বিশেষ করে যাদের সবজি, ফলমূল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন পড়ে না তারা মাছ-মাংসের জন্য ডিপ ফ্রিজ কিনে নিতে পারেন।
পাশাপাশি যাদের সবজি, ফলমূল এসব সংরক্ষণের চাহিদা বেশি এবং মাছ-মাংস অনেকদিন যাবত ফ্রিজে রেখে খেতে পছন্দ করেন না তারা নরমাল ফ্রিজ কিনে নিতে পারেন। আর এক্ষেত্রে নরমাল ফ্রিজ কেনার সময় রান্নাঘরের বিভিন্ন স্থান এবং পরিবারের প্রয়োজনের সাথে মানানসই হবে এমন ডিজাইনের ফ্রিজ বেছে নিতে ভুলবেন না।
২. বাজেট ঠিক করুন
নতুন ফ্রিজ কেনার সময় কিন্তু ফ্রিজের প্রাইজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার বাজেট এবং আর্থিক অবস্থাসহ সবকিছু ঠান্ডা মাথায় ভেবে নেবেন। সাথে এটাও মাথায় রাখবেন ফ্রিজ মাসে মাসে নতুন করে কেনার মতো কোনো আসবাব নয়। একবার কিনে এই ফ্রিজ আপনাকে কমপক্ষে ৫-১০ বছরের মতো ব্যবহার করার টার্গেট নিতে হবে।
আপনার নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে মোটামুটি রকমের একটি ফ্রিজ ক্যাটাগরি বাছাই করুন। তারপর সাইজ বাছাই করে প্রাইজ সম্পর্কে আইডিয়া নিন এবং ঠিক করুন কত টাকার ফ্রিজ কিনলে আপনার চলবে।
মনে রাখবেন বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং মডেলের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ফ্রিজ সেল হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন প্রাইজে। সাইজ, ক্যাপাসিটি, ফিচার এবং ব্র্যান্ডের উপর কোনটার কত প্রাইজ তার আইডিয়া পেতে গুগলের সাহায্য নিতে পারেন। তবে হ্যাঁ বর্তমানে দেশেই ওয়ালটন, স্যামসাং, এলজি, শার্প ব্র্যান্ডের নরমাল ফ্রিজগুলোর প্রাইজ পড়ে ২৫,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে। আর যারা হাই কোয়ালিটির ফিচার চান তাদের বাজেট গুনতে হবে লাখের কাছাকাছি। বাজেট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে এখানে দেখুন।
৩. এনার্জি লেভেল চেক করুন
নতুন ফ্রিজ কেনার সময় অনেকেই এই এনার্জি লেভেল চেক করার বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। অথচ দিন শেষে এই ফ্যাক্টরটি খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। আসুন এবারে এই ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করি।
সাধারণত একটি ফ্রিজের এনার্জি স্টার লেবেল ১ থেকে ৫ এর মধ্যে হয়ে থাকে। এই লেভেল যতবেশি হাই হবে ফ্রিজের কোয়ালিটি ততবেশি ভালো হবে এবং তত বেশিদিন ফ্রিজটি টিকবে। অর্থ্যাৎ ফ্রিজের ক্ষেত্রে এনার্জি স্টার লেবেল ১ মানে লো কোয়ালিটির এনার্জি এবং এনার্জি স্টার লেবেল ৫ মানে সর্বোচ্চ হাই লেভেল এনার্জি। কম বিদ্যুৎ খরচ নিশ্চিত করতে মূলত সবমসময় ৪ অথবা ৫ স্টারযুক্ত ফ্রিজ কেনা ভালো। সুতরাং দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ বিল কমাতে ফ্রিজ কেনা সময় করণীয় হিসাবে এই টিপসটি ফলো করবেন।
৪. ব্র্যান্ড নিয়ে রিসার্চ করুন
ব্যাপারটা শুনতে অকাজের মনে হলেও নতুন ফ্রিজ কেনার সময় করণীয় হিসাবে অবশ্যই ব্র্যান্ড নিয়ে রিসার্চ করা জরুরি। এক্ষেত্রে ভালো কোয়ালিটির ফ্রিজের জন্য পিকাবুকে বেছে নিতে পারেন। আপনাদের নির্ভরযোগ্যতা এবং ক্রয়ক্ষমতার উপরই ভালো ভালো ফ্রিজ পাবেন পিকাবুতে। সাথে রয়েছে বিভিন্ন বাজেটের সাথে মানানসই মডেল। তাছাড়া পিকাবু সবসময় স্ট্যান্ডার্ড ওয়ারেন্টি নিশ্চিত করে।
পাশাপাশি রয়েছে পিকাবুর ফিল্টারিং সিস্টেম। ডিজিটাল ইনভার্টার কম্প্রেসারের জন্য আপনি খুব সহজে সেভাবে সার্চ করতে পারবেন। পাশাপাশি সবসময় কাজ করে এমন টুইন কুলিং প্লাস সিস্টেমেরও ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং প্রাইমারি থেকে একেবারে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ফ্রিজ চাইলে পিকাবু আপনাকে সব সময় সাহায্য করবে। সবশেষে বলবো নির্ভরযোগ্য হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রোডাক্টের জন্য জনপ্রিয় স্থান Pickaboo. বাজেটের মধ্যে একাধিক ব্লান্ড থেকে ভালো ফ্রিজ চাইলে এখনই ভিজিট করুন।
৫. ওয়ারেন্টি চেক করুন
সবশেষে ফ্রিজ কেনার সময় যা লক্ষ্য রাখবেন সেটি হলো ওয়ারেন্টি। মনে রাখবেন আপনার ফ্রিজ অনেক বছর ধরে টানা ভালো সার্ভিস কখনোই দেবে না। মাঝেমধ্যে সমস্যা দেখা দিবেই। এক্ষেত্রে ভালো ওয়ারেন্টি আছে এমন ফ্রিজ বেছে নেওয়া দরকার। বাংলাদেশে বেশিরভাগ ফ্রিজের ওয়ারেন্টি দেওয়া হয় ১/২ বছরের। এই ধরণের স্ট্যান্ডার্ড ওয়ারেন্টিতে সাধারণত ফ্রিজের কম্প্রেসার, কুলিং সিস্টেম এবং ইলেকট্রনিক কন্ট্রোলের মতো প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর কভারেজ নিশ্চিত করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে প্রোডাক্ট কেনার সময় রসিদ, ওয়ারেন্টি কার্ড এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট কালেক্ট করে নিতে ভুলবেন না।
শেষকথা
আশা করি নতুন Fridge কেনার সময় যে ৫টি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত তা জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত টিপসগুলো ফলো করে ফ্রিজ কিনতে পারলে এক ফ্রিজে বহু বছর পার করে দেওয়া যাবে। আর সর্বদা পিকাবুর সাথে থাকুন নিত্য নতুন প্রযুক্তি পণ্য কিনতে।